বিবিসির খবরে বলা হয়, ফোর্ট লডারডেল-হলিউড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেটব্লুর ফ্লাইট রক্ষণাবেক্ষণ পরিদর্শনের সময় এয়ারবাস এ৩২০-২৩২ এর ল্যান্ডিং গিয়ার কম্পার্টমেন্টে দুই ব্যক্তির লাশ খুঁজে পান।
মঙ্গলবার জেটব্লু মুখপাত্র বলেন, এই দুই ব্যক্তি কীভাবে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের ১৮০১ ফ্লাইটে অননুমোদিতভাবে ঢুকেছিলেন তা তদন্ত করছেন ফেডারেল তদন্তকারীরা।
দুঃখজনকভাবে উভয়ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই মুহূর্তে তাদের পরিচয় এবং তারা কিভাবে বিমানে প্রবেশ করেছিলেন তা তদন্তাধীন।
জেটব্লুর বিমানটি ৫ জানুয়ারি জেএফকেনেডি থেকে জামাইকার কিংস্টনে পৌঁছানোর পর রাতে সেখানেই ছিল। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, মৃত ব্যক্তিরা জামাইকার বাসিন্দা হতে পারেন।জামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমিনা স্মিথ এ বিষয়ে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ‘ফোর্ট লডারডেলে একটি বিমানের চাকার কাছে দুটি মৃতদেহ পাওয়ার বিষয়টি আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি। যদিও এই ব্যক্তিদের জাতীয়তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এ ঘটনায় এখনও তদন্ত চলছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।কিছুদিন আগেও একই রকম আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রেও। গত ক্রিসমাস ইভে সংস্থাটির শিকাগো থেকে হাওয়াইগামী একটি ফ্লাইটের ল্যান্ডিং গিয়ার বগি থেকে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়।বিমানের হুইল ওয়েল বা ল্যান্ডিং গিয়ার কম্পার্টমেন্টে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেখানে কম অক্সিজেন, তীব্র ঠান্ডা, পিষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি এবং বিমান চলাচলের সময় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।