চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মাঠের খেলার চেয়ে অন্য সব বিষয় নিয়েই বেশি আলোচনা। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক জটিলতা ছাড়াও যে বিষয়টি নিয়ে খুব চর্চা হচ্ছে, সেটা ফিক্সিং ইস্যু। বিষয়টি কাজ শুরু করেছে বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগও।
দেশি ১০-১২ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে সন্দেহ বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের।তাদের সন্দেহের তালিকায় আছেন কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটারও। সন্দেহের নজরে আছেন, দেশি বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম এর আগে সংবাদমাধ্যমে এসেছে। তাদের একজন দুর্বার রাজশাহীর ওপেনার এনামুল হক বিজয়। আজ কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে, তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।তবে অবশ্য বিজয় জানিয়েছেন, এমন কিছু জানেন না তিনি। তবে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায় হতাশ অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
এমন অভিযোগে কষ্ট পাচ্ছেন জানিয়ে বিজয় বলেন, ‘আমাকে জড়িয়ে এমন খবর হওয়ায় আমি সত্যিই বিস্মিত, হতবাক আমি। দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে কি না বা কেন দেওয়া হলো, এ ব্যাপারে কিছুই জানি না আমি।
বিসিবি বা কারো পক্ষে থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমি অন্ধকারে আছি। অনেক বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। পুরো এই সময়ে সম্মানের সাথে ক্রিকেট খেলে আসছি। এ ধরনের খবর আমার জন্য খুবই বিব্রতকর, আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে.
আমি অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব।’ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজয় বলেন, ‘মিথ্যা সব সময় মিথ্যাই, এমন কিছু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন অভিযোগে আমি বিব্রত, কষ্ট পাচ্ছি। এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, বিপিএলে সম্মানের সাথে খেলছি, বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি। এখনো তো অনেক সময় পড়ে আছে। বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। সেটা না হলে এত পরিশ্রমের মানে কী! সব জায়গায় সৎ থেকে, নৈতিকতা ধরে রেখে খেলে যদি এমন অভিযোগ শুনতে হয়, তাতে কষ্ট হয়।’এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিজয়ের দেশত্যাগে নিষধাজ্ঞা দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ করেছে বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ। কিন্তু এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিসিবির একজন পরিচালক। নাম না প্রকাশ করার তিনি বলেন, ‘বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা বা তাকে যেন দেশের বাইরে যেতে না দেওয়া হয়, বিসিবির কোনো জায়গা থেকে কাউকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তো প্রমাণিত কিছু নয়। এর আগে এমন নিষেধাজ্ঞা কিভাবে আসবে! বিষয়টা আমরা দেখছি, প্রয়োজনে এ ব্যাপারটি পরিষ্কার করতে আমরা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেব।’ পরে বিসিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একই তথ্য দেওয়া হয়।