রাজধানীর উত্তরার রাজউক মার্কেটে ‘বনফুল’ নামের একটি মিষ্টির দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে মার্কেটটি। আজমপুরের রাউজক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স মার্কেটের নিচ তলার ওই মিষ্টির দোকানে গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে রাত ২টা ৪৯ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের মার্কেট রক্ষা পেলেও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বনফুল।
এ বিষয়ে, সোমবার বিকেলে দিয়াবাড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আলম হোসেন বলেন, ‘আমরা রাত ২টা ১৮ মিনিটে রাজউক মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১০ তলা মার্কেটের নিচ তলার বাইরের দিকের বনফুল নামের একটি দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া নিচ তলার ছাদের নিচের ফলস সিলিংগুলোও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ১৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ তাঁর দাবি, ‘আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে পুরো রাজউক মার্কেট পুড়ে ছাই হয়ে যেত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজউক মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ীরা সোমবার বিকেলে জানান, বনফুল থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে মার্কেটের নিচতলার আশপাশের দোকানের বাইরের ফলস সিলিংগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই মার্কেটে একাধিক কেমিক্যাল গোডাউনসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থের দোকান রয়েছে। যদি স্বল্প সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হতো, তাহলে পুড়ো মার্কেটের ভয়াবহ অবস্থা হতো।
সরেজমিনের ওই মার্কেটের মিষ্টির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, দোকানটির সবকিছুই পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া মালামালগুলো সরাচ্ছেন অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দোকানের এক কর্মী বলেন, ‘আমাদের মন মানসিকতা এমনিতেই ভালো না। আমরা এই মুহূর্তে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।’
অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাউজক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন রতন বলেন, ‘আগুনে শুধু বনফুল মিষ্টির দোকান পুড়ে গেছে। এতে অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া বনফুল মিষ্টির দোকান পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ঢাকা –১৮ আসনের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ন আহবায়ক আফাজ উদ্দিন আফাজ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিহাদুর রহমান পরশ,রাজউক মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, আলমগীর হোসেন শিশির,
এসময় সাথে ছিলেন উত্তরা পূর্ব থানা জামায়াত আমীর মো: মাহফুজুর রহমান দক্ষিণখান থানা আমীর মোস্তাকিম আলম, রাজউক মার্কেটের ঢাকা মেডিসিন দোকান মালিক সুমন, জামায়াতের ব্যবসায়ী নেতা হাফিজুর রহমান, আজিম উদ্দিন বাদল, তুরাগ থানার জামায়াত নেতা গোলাম মোস্তফা ও স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।