রাজধানীর উত্তরা ১১নং সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে সেক্টরের প্রতিটি রাস্তায় সিসি ৮০টি ক্যামেরা স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
সোসাইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও অপরাধ দমন কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা রাখতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং কিছুদিন পর আরো ২০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুর ১২টায় সোসাইটির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিসি ক্যামেরা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মহিদুল ইসলাম, পিপিএম।
তিনি বলেন, এটি একটি সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ। প্রযুক্তির সহায়তায় নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। আমরা আশা করি, অন্যান্য সোসাইটিও এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসবে।
উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সোসাইটির উপদেষ্টা, লে. কর্ণেল আ ক ম জাহিদ হোসেন (অবঃ), র্যাব-১ এর কমান্ডার, মেজর, আহনাফ, উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদ্দাম হোসেন,
উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান, পিপিএম-সেবা, সোসাইটির সাবেক সভাপতি, ডা: মইন উদ্দিন আহমেদ, উত্তরা ১১নং সেক্টর বায়তুন নূর জামে মসজিদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও সোসাইটির উপদেষ্টা, হাজী আরব আলী, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি, মোস্তফা কামাল হৃদয়, সোসাইটির, উপদেষ্টা ডাঃ আঃ কাদের।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সোসাইটির উপদেষ্টা
লে. কর্ণেল আ ক ম জাহিদ হোসেন (অবঃ),
বলেন, এ সোসাইটির উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আজকের এ অর্জন আমাদের গর্বিত করে। আমি বিশ্বাস করি, এই ক্যামেরা স্থাপন শুধু নিরাপত্তা নয়, সামাজিক শৃঙ্খলাও নিশ্চিত করবে।
বিশেষ অতিথি উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান, পিপিএম-সেবা বলেন, “পুলিশের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ যদি সচেতনভাবে নিরাপত্তা রক্ষায় ভূমিকা রাখে, তবে অপরাধ দমন অনেক সহজ হয়। এই ক্যামেরা আমাদের কার্যক্রমেও সহায়ক হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ জামান বলেন, “আমরা সবসময় সেক্টরের নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা এবং উন্নয়নে কাজ করে আসছি। এই সিসি ক্যামেরা প্রকল্প আমাদের প্রতিশ্রুতির অংশ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে যাঁরা সহায়তা করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মোঃ সালাউদ্দিন ভূইয়া বলেন, “আজ আমরা যা অর্জন করেছি, তা সম্মিলিত প্রয়াসের ফসল। আগামী দিনে আমরা দুর্নীতিমুক্ত থেকে এমন সব কার্যক্রম করব, যাতে সেক্টরে ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি থাকবে না। মুসলিমদের সন্তানদের নৈতিক শিক্ষাদানের জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালাবো, যাতে তারা মূল্যবোধ শিক্ষা গ্রহণ করে এবং অমুসলিমরাও আমাদের এখানে নিরাপদে বসবাস করতে পারে। এমন একটি আদর্শ সমাজ গড়ার নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো, আর ১১ নম্বর সেক্টর হবে রাজধানীর বুকে একটি আদর্শ সোসাইটি।
তিনি আরো বলেন,
সিসি ক্যামেরার কাজ বাস্তবায়নের জন্য সোসাইটির প্রত্যেক সদস্য নিকট পত্রের মাধ্যমে প্রতি সদস্য ১০০/ একশত টাকা এককালীন কালেকশন করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সদস্যদের মধ্যে ৩৪% সদস্য পরিশোধ করেছে যাহা মোট-২,৮৯,৩০০/ টাকা।
সিসি ক্যামেরা বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হচ্ছে।
উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিসি ক্যামেরা বাস্তবায়ন উপ-কমিটি, আহবায়ক ও সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত অর্থ সম্পাদক, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ সৃজন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোগল ভূঁইয়া, নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম মুন্সী, সহ-নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান রাজা, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল ইকবাল ভূঁইঞা সুজন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, সমাজকল্যাণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আজমল হোসেন মালদার, নির্বাহী সদস্য, নাসরিন আক্তার, তানভীর হাসান লস্কর (বনী)
সিসি ক্যামেরা টেকনিক্যাল কমিটি সদস্য, ইঞ্জি. মোঃ শাহজাহানসহ
উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দা, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সোসাইটির পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি ও পরিকল্পনার মাধ্যমে নাগরিক সেবাকে আরও কার্যকর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।