০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিজিএমইএ দপ্তরে বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পপতি, তৈরী পোশাক শিল্পের অন্যতম পথিকৃত, বিজিএমই এর সাবেক সভাপতি এবং ড্রাগন গ্রুপ, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোঃ লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজসেবক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস এর স্মরণে এক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মিলিত পরিষদের উদ্যোগে বিজিএমইএ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই শোকসভায় বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতিবৃন্দ – রেদোয়ান আহমেদ, এস এম ফজলুল হক, আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ), ফারুক হাসান, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের দুই প্যানেল লিডার আবুল কালাম ও মাহমুদ হাসান খান (বাবু) এবং প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের পুত্র মোস্তফা কিউ সুবহান (রুবেল) ও কন্যা তাসনিয়া কামরান আনিকা।
সভায় বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতিগন এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাধারণ সদস্যগনও অংশগ্রহন করেন।
আলোচনা সঞ্চালনা করেন আব্দুল্লাহ হিল রাকিব।
শোকসভায় প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন বিজিএমইএ সদস্যরা। পাশাপাশি তারা প্রয়াত নেতার জীবনের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে পোশাক শিল্পের কল্যাণে তিনি যেভাবে শিল্পকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেগুলো গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বক্তারা বলেন, পোশাক শিল্প আজ যে পর্যায়ে এসেছে, তার পেছনে রয়েছে প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অসামান্য অবদান। বিশেষ করে তারই হাত ধরে এদেশে সুয়েটার শিল্পের বিকাশ লাভ হয়েছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, লাখো লাখো মুনুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
শুধু তাই নয়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস শিশুশ্রম সংক্রান্ত হারকিন বিলস মোকাবেলাতেও অগ্রনী ভূমিকা পালন এবং ‘আর্ন অ্যান্ড লার্ন’ কার্যক্রম চালু করেছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী বহুল প্রশংসিত হয়েছিলো।
বিজিএমইএ ভবনের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নিবেদিত দেশপ্রেমিক হিসেবেও বাংলাদেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যানে নিজেকে উৎসর্গ করে ছিলেন।
বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের স্মরণে শোকসভা আয়োজনের জন্য সম্মিলিত পরিষদকে এবং এ শোকসভায় অংশগ্রনের জন্য ফোরামের নেতাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, সুয়েটার শিল্পের পথিকৃত হিসেবে বিজিএমইএ তাকে চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।